লিলি আহমেদ ট্রাষ্ট

(শিক্ষা-সেবা-উন্নয়ন)

স্থাপিতঃ ২০১০ ইং

একটি সামাজিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান

কার্যক্রমঃ

“লিলি আহমেদ ট্রাষ্ট”-এর পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হয় ২০১২ সালের ৭ই জানুয়ারী । বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কৃষিঋণ নিয়ে সময় ও শর্ত অনুযায়ী তা পরিশোধ করতে না পারায় এক প্রান্তিক কৃষকের ঋণের পরিমাণ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায় । ট্রাষ্ট-এর পক্ষ থেকে কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় যোগাযোগ করে উক্ত কৃষকের সমুদয় ঋণ নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়।

একই গ্রামের এক দরিদ্র ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে বাকীতে ওষুধ ক্রয় করতেছিল । কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার এই ঋণ পরিশোধে সম্পূর্ণভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে । এমতাবস্থায় উক্ত ওষুধ বিক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে “লিলি আহমেদ ট্রাষ্ট” এই ঋণ পুরোপুরি পরিশোধের ব্যবস্থা করে।

ঠিক একই সময় পার্শ্ববর্তী জেলার একটি গ্রামের মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শনকালে ছোট ছোট এতিম শিশুদের আবাসনজনিত দুর্ভোগ লক্ষ্য করা যায় । প্রচন্ড শীতের মাঝে তারা মেঝেতে কাপড় বিছিয়ে পড়াশোনা করছে । "লিলি আহমেদ ট্রাষ্ট" তৎক্ষণাৎ এই অসহায় শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্পেট ক্রয় করে তা বিতরনের ব্যবস্থা করে এবং তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘবের চেষ্টা করে।

শিক্ষাই আলো – দূর করে অন্ধকার। দেশের পশ্চাদপর এলাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আরও অধিক আগ্রহী করে তোলার জন্য “লিলি আহমেদ ট্রাষ্ট” উদ্যোগী হয় শিক্ষাবৃত্তি প্রবর্তনের । এর অংশ হিসেবে "রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়"[জেলাঃ মাগুরা]–তে প্রথমবারের মতো "লিলি আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি"প্রচলন করা হয় । ২০১২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সকল ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকবৃন্দের উপস্থিতিতে এক অনাড়াম্বর অনুষ্ঠানে ও আনন্দঘন পরিবেশে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় । এই বৃত্তির আওতায় প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত সকল শ্রেনীর প্রথম তিনজন কৃতি শিক্ষার্থীকে আর্থিক পুরষ্কার দেয়া হয় । এই শিক্ষাবৃত্তি এলাকায় ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।